ড্রেজিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, ১০ নৌপথ পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ

Passenger Voice    |    ০৩:২২ পিএম, ২০২৪-০৩-৩১


ড্রেজিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, ১০ নৌপথ পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ

নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) অনিয়মের কারণে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলগামী ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। আগে ৪১টি নৌপথে লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলতো। এখন এই সংখ্যা নেমে হয়েছে ৩১। শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ রোববার সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নদী খনন ও পলি অপসারণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার সঙ্গে উপকূলগামী স্বীকৃত নৌপথের সংখ্যা ৪১। তবে এখন ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৩১টি নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ) চলাচল করে। তীব্র নাব্য সংকটের কারণে বাকি নৌপথগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 

লঞ্চমালিক নেতাদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ আরও জানায়, ৩১টি নৌপথ সচল থাকলেও সেসব পথের বিভিন্ন স্থানেও নাব্য সংকট রয়েছে। ফলে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে সচল নৌপথগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা কমছে। 

নৌযাত্রী, নৌশ্রমিক ও অধিকারকর্মীদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী খনন ও পলি অপসারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। 
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দও দিলেও ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিলুপ্ত নৌপথ উদ্ধারে দীর্ঘ ১৬ বছরেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি।